সংশোধনের দাবী প্রধান শিক্ষক সমিতির
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা নির্ধারণে জটিলতা নিরসনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে মাননীয় অর্থমন্ত্রী সমীপে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। আজ প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব গোপাল দাস এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা টেলিফোনে শিক্ষাবার্তাাকে জানান প্রতিবেদনে গেজেটেড এবং ক্রসপনডিং উভয় বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
বিসিএস নন ক্যাডারডের নিয়োগের জন্য প্রস্তাবনা আগেই পেশ করা হয়েছে । এখনও আমরা তার কোন উত্তর পাইনি।
রবিবার সকালে টেলিফোনে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব গোপাল দাস এর কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলের ব্যাপারে কি কি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তিনি তখন তার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিষয়টি জানতে অনুরোধ করেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা টেলিফোনে শিক্ষাবার্তাকে জানান সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক বেতন ভাতা নির্ধারনের যে জটিলতা তা অর্থমন্ত্রনালয় থেকে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষকদের যে যে সমস্যা আছে তা নিরুপনের জন্য কিছু প্রস্তাব পেম করেন। সেক্ষেত্রে আগে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেটিই বহাল রেখে প্রস্তাব দেন।
প্রধান শিক্ষক পদটি গেজেটেড কর্মকর্তার পদ। সেক্ষেত্রে ১০ গ্রেড দেবার জন্য কোন প্রস্তাবনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা গেজেটেড। তবে ১০ম গ্রেড দেবার ব্যাপারে কোন প্রস্তাবনা দেয়া হয়নি।
পিএসসি হতে সুপারিশকৃতদের কবে নাগাদ নিয়োগ দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটি আমাদের সিদ্ধান্ত না। আমরা আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এখনও কোন উত্তর পাইনি।
রংপুর থেকে পিএসসি থেকে সুপারিশকৃত মৃনময় দাস জানান পিএসসি আমাদের সুপারিশ করেছে । কিন্তু আমরা এখনও কোন নেোগ পেলাম না। আমাদেরকে দ্রুত ১০ গ্রেডে নিয়োগ দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটির সিনিয়ার যুগ্ন সম্পাদক স্বরুপ দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমরা গেজেটেড। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলের জটিলতা দুর করতে হলে তাদেরকে অব্যশয় দশম গ্রেড এবং ক্রসপনডিং স্কেলে বেতন দিতে হবে। অন্যথাই কোন সমস্যায় সমাধান হবে না।তাই প্রস্তাবনা সংশোধন করে ১০ গ্রেড এবং ক্রসপনডিং স্কেল দিতে হবে।
তবে আমরা আশা করছি ডিসেমব্র মাসের মধ্যেই আমাদের সমস্যার সমাধান হবে।