উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান, সোমবার সকালে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের ১নং চৌধুরানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব প্রধান শিক্ষিকা সোনিয়া আনসারী বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস করেন। এরপর তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, মোংলাকুটি মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন, মোংলাকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুফিয়া বেগম ও কুতুব্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমানকে দিয়ে ফাঁস করা প্রশ্নোত্তর মোবাইল ফোনের এসএমএস’র মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করেন।
বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা বিআরডিবি অফিসার মনিরুজ্জামান হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিয়া ফেরদৌস জাহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কেন্দ্র সচিব সোনিয়া আনসারীসহ জড়িত ওই চার শিক্ষকের তিন হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের তিন মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এছাড়াও কেন্দ্র সচিবকে বহিষ্কার ও চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।