মহান বিজয়ের দিন আজ

অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা, বহু পটভূমি, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধিকার আদায়ের দৃঢ় মনোবল নিয়ে পরাধীনতার শৃংখল ভেঙে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ঘোর অন্ধকার-অমানিশা কাটিয়ে বাংলার চিরসবুজ জমিনে রক্তে রাঙানো লাল-সবুজ পতাকার জন্ম দেয়ার মাস ডিসেম্বর।

১৬ ডিসেম্বর, আমাদের বিজয়ের দিন।  

আমাদের অনেক হতাশার মাঝেও আমাদের আশার জায়গা মুক্তিযুদ্ধ। সব ব্যর্থতা আর হতাশার মধ্য দিয়ে বিশ্বায়নের এ যুগে দেশটি যে এখনও এগুচ্ছে। তার একটি কারণ হল সচেতন তরুণ প্রজন্ম, তারাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে।

স্বাধীনতার চেতনায় বলিয়ান হয়েই দেশস্বাধীনের ৪২ বছর পর যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার তরুণ প্রজন্ম। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে ‘কসাই কাদের মোল্লা’ এদেশের সাধারণ জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছিল তার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এ মাসেই।

এ যেন বিজয়ের মাসে আরেক বিজয়। দেশের তরুণ সমাজের প্রত্যাশা, বাংলার মাটিতে প্রতিটি রাজাকার আলবদরের ফাঁসি কার্যকর।

চেতনার ১৬ই ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে দেশব্যাপী। ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু বিজয় দিবস। এ দেশের ইতিহাসে এক গৌরব ও অহঙ্কারের দিন।। সরকারি-বেসরকারি ভবনে উড়বে জাতীয় পতাকা। শুধু তাই নয় বাংলারঘরে ঘরে উড়বে লাল-সবুজ পতাকা।

সূর্যোদয়ের সময় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতার শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে তারা দিয়েছেন বিশেষ বাণী। বাণীগুলোতে উঠে এসেছে স্বাধীনতার চেতনায় বলিয়ান হয়ে দেশ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয়।

আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে।

সম্পাদক: এস কে দাস

 

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।