ব্যাংক কর্মকর্তার উদাসীনতায় শিক্ষকগণ ঈদ বোনাস পেলেন না

pabnaআফতাব হোসেন, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়া (দেবোত্তর) সোনালী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজারের উদাসীনতা আর অবহেলায় অবশেষে বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা ঈদু ফিতর উৎসব বোনাস পেলেন না। ফলে মানবেতরভাবে বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা উৎসব বোনাস ছাড়াই ঈদু ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন। সরকার বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের আনন্দের সাথে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য গত ২৭/৬/১৬ তারিখে ৩বি/০২হিঃ/২০১৫/৮৩৮২/৪হিসাব নং স্মারকে ৩০/৬/১৬ তারিখের মধ্যে ঈদ উৎসব বোনাস উত্তোলনের আদেশ জারী করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহে টাকা হস্তান্তর করে। কিন্ত পাবনার আটঘরিয়া (দেবোত্তর) সোনালী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজারের চরম অবহেলায় সরকারের আদেশও মারাত্বকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।

জানা যায় সোনালী ব্যাংক লিঃ এর প্রধান কার্যালয় পাবনায় ৩০/৬/১৬ তারিখ বেলা ১১ টায় বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বোনাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসে। সে মোতাবেক পাবনা শাখার সংশ্লিষ্ট বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টানের পক্ষ হতে ঈদ উৎসব বোনাসের বিল দাখিল করে উত্তোলন করা হয়েছে।

অথচ পাবনার আটঘরিয়া (দেবোত্তর) সোনালী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজারের চরম অবহেলায় আটঘরিয়ার বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বোনাসের বিল জমা দিতে পারেন নি। আটঘরিয়া (দেবোত্তর) সোনালী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার শিক্ষক/কর্মচারীদের সরকারের দেয়া ঈদ উৎসব বোনাস না দেওয়ার পায়তারা করে সোনালী ব্যাংক লিঃ এর প্রধান কার্যালয় পাবনা হতে বিল সংক্রান্ত কাগজপত্র না এনে শিক্ষক/কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বোনাস দেন নি।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়ার শিক্ষক সমাজ আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যাংক ম্যানেজারকে শিক্ষক/কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।

আটঘরিয়া (দেবোত্তর) সোনালী ব্যাংক লিঃ এর ম্যানেজার তাঁর নির্দেশও উপেক্ষা করে শিক্ষক/কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বোনাস দেন নি। অনেক শিক্ষক কর্মচারী রোজা পালন করে দিনভর ব্যাংক সংশ্লিষ্ঠ এলাকায় এতিমের মত অবহেলার পাত্র হয়ে ঘুরে বিফল মনে বাড়ি ফিরেছেন।

উক্ত ম্যানেজারের মোবাইল নম্বরে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উল্লেখ যে, বর্তমান ঐ ম্যানেজার মোঃ আকবর হোসেন অত্র শাখায় যোগদান করার পর থেকেই বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি বেতন প্রদানে দারুনভাবে গরিমসি করে আসছেন। গত মে/১৬ মাসের সরকারি বেতন উত্তোলনের সময়সীমা ১৫ জুন থাকা স্বত্তেও ১৯জুনে ঐ বেতন জমা করা হয়।

আটঘরিয়ার শিক্ষক সমাজ অনতিবিলম্বে তার অপসারণ চাইছে, অন্যথায় আন্দোলনে নামার ঘোষনা শোনা যাচ্ছে। অনেকের মন্তব্য উক্ত ম্যানেজার বর্তমান সরকারের অর্জন ম্লান করার একটি অশুভ পাঁয়তারা করছেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।