বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষক না ভোটার নিয়োগ হয়

ashifআসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, টকশোর তুখোড় বক্তা, ক্ষুরধার এক লেখক-সাংবাদিক। লেখালেখি ও বাগ্মীতায় স্পষ্টবাদী, আপসহীন-সাহসী ও অনলবর্ষী এই ব্যক্তিত্ব,  বলেছেন, সমাজ-রাষ্ট্রের বিবিধ প্রসঙ্গে, যাতে রয়েছে নির্মোহ যুক্তি, নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ ও তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন কাজল রশীদ শাহীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আপনি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতায় যুক্ত আছেন। এ সময়ে ‘জঙ্গিবাদ’ এর সূতিকাগার হিসেবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

আসিফ নজরুল : আমাদের এখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় একটা বিরাট ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার যে প্রয়োজন, সেটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনোভাবেই মেটাতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী,  সেই প্রয়োজনটা তারা মেটাচ্ছে। বেসরকারি ইউনিভার্সটির কারণে বাংলাদেশের ছাত্ররা ভারতের, সাইপ্রাসের, হাঙ্গেরির মতো অখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে চলে যাচ্ছে না।  আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে আমাদের এখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আমাদের এখানে অসংখ্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে। বেসরকারি বড় বড় ইউনিভার্সিটিতে থেকে যারা পাশ করেছে, তারা শুধু বাংলাদেশে না বিদেশেও অত্যন্ত দাপটের সঙ্গে  সম্মানজনক চাকরি করছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের অসংখ্য নজির আমাদের এখানে রয়েছে। বিশেষ করে আপনাকে নর্থসাউথ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কথা বলতে পারি। এখানে কোনো কিছু না বোঝে না জেনে কিছু কিছু লোক ঢালাওভাবে যেভাবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করছে তা খুবই অদ্ভূত ঘটনা। কারণ আমি বিষয়টা পরিস্কার করে বলি বিদেশ বা আমেরিকায় যখন টেররিজমের ঘটনা ঘটে কখনো কি আপনি দেখেছেন ওই অস্ত্রধারী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত কখনো এমন বর্ণনা এসেছে? সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসীই তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কী সম্পর্ক?

তার মানে আমরা ঘটনাটা যেভাবে উপস্থাপন করা দরকার, সেভাবে করছি না। তাহলে প্রশাসন বা মিডিয়ার কোনো দুর্বলতা আছে বলে আপনি মনে করছেন?

আসিফ নজরুল : মিডিয়ার বা সরকারের নীতি-নির্ধারকদের দুর্বলতা থাকতে পারে। আপনি যদি সিম্পলি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ঘটনাটা দেখেন, তাহলেও বুঝবেন। ওখানে ২০-৩০ হাজার ছাত্র ছাত্রী আছে, তার মধ্যে ৫-৬ জনের জঙ্গি পরিচয় পাওয়া গেছে। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে কি জঙ্গিবাদ পড়ানো হয়? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তাদের কী জঙ্গি হতে হয় এমন কোনো ক্রাইটেরিয়া আছে? তা হলে এই দোষটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আসবে কেন? যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দোষ আসে, তাহলে যে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে, তাহলে কি সব জঙ্গিবাদের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী?  তাহলে আমরা কী এখন বলব আওয়ামী লীগ বন্ধ করে দাও? তাহলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির কে দোষ? আমার কাছে ঠিক পরিস্কার নয়, এ ধরনের অদ্ভুত কথা কেন বলা হয়?

এইগুলোকে তাহলে আপনি কী বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করেন?

আসিফ নজরুল : অবশ্যই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই জিনিসটা বুঝতে হবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেন তাদের জন্য এই সময়ে সবচেয়ে বড় পাঠশালা হচ্ছে ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেটে এক মাত্র সে স্বাধীন, এখানে সে কি পড়ছে কি দেখছে কেউ গাইড করার নেই। যদি কাউকে দায়ী করতে হয় তাহলে উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহর কথায় প্রথমে আসা উটিৎ। এটাকে রেস্ট্রিক্ট করার কোনো রকম ব্যবস্থা আমাদের নাই এবং নজরদারিরও কোনো সিস্টেম নাই এটাকে দায়ী করতে হবে। যারাই জঙ্গি হয়েছে তারা যে জঙ্গিবাদের দীক্ষা পেয়েছে আইএসের ওয়েবসাইটে গিয়ে হোক এবং বিভিন্ন প্রচারণের মাধ্যমেই হোক এটা তো তারা  ইন্টারনেটে পেয়েছে। ইন্টারনেটে যে একটা শিক্ষার্থীর এক্সেস সেটা মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হোক সেটা কী বাবা, মা বা কোনো শিক্ষক কনট্রোল করে? যার হাতে ইন্টারনেট সেই কনট্রোল করে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্কে অভিযোগ উঠছে যে এইখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পড়ানো হয় না, এ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

আসিফ নজরুল : মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাঠদান সরাসরি কোথায় আছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের যে বিভাগগুলি আছে ওইখানে কয়টিতে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাঠদান আছে? আমার যখন বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রের ইতিহাস ও সংবিধানের আইন পড়ি তখন সংবিধানটি কীভাবে হয়েছে সেটি বলতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কথা আসে। আলাদা করে মুক্তিযুদ্ধের পাঠদান এভাবে কোথায় পড়ানো হয়। আর মুক্তিযুদ্ধের চর্চা কেন্দ্র সম্পর্কে যদি বলা হয় তাহলে আমার জানামতে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর ও ১৫ আগস্ট পালন করা হয়। দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি উৎসবই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা হয়।

আমি স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি উদাহরণ দিয়ে বলি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যে ক্লাবগুলো যারা পরিচালনা করে তারা সারা বছর ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে। যেমন বর্ষা মঙ্গল, গ্রীষ্মকালের উদযাপন অনুষ্ঠান, শরৎকাল উদযাপন অনুষ্ঠান ও বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কিন্তু সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের মত একজন মানুষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো কিছু না জেনে তিনি যে একটি কমেন্ট করলেন ‘যে মাদ্রাসার আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার কোনো চর্চা হয় না’ আমার এতে খুবই দুঃখ লেগেছে উনার মত একজন মানুষ যদি কোনো কিছু না জেনে বলেন তাহলে তো বহু লোক বলবে আমি এতেই সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছি।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী মত একজন লোক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যে ভুল ধারণা পোষণ করেন। তার ব্যর্থতা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপরই বর্তায় তারা নিজেদের কার্যক্রমগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি।

আসিফ নজরুল : আমাদের প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম সম্পর্কে সকল তথ্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আছে। আমারা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্য দেয়, বিভিন্ন মিডিয়াগুলোতে নিয়মিত প্রেস রিলিজ পাঠাই। আমরা আর কী করব? একটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানানোর জন্য আর কী করতে পারে।

কিন্তু একটা সমস্যা তো রয়েই গেছে, যেটা দৃশ্যমানও। এখন আপনিই বলুন, এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য আপনার কী অভিমত?

আসিফ নজরুল : আমার কথা হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নির্বিচারে যারা এই সব বলছে তারা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে বিদেশমুখী করতে চায় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বার্থ দেখছে আরেকটা অংশ হচ্ছে যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিন্দুমাত্র কোনো কিছু জানার চেষ্টা না করে কোনো কিছু বলা। এছাড়া বাংলাদেশে একটি প্রবণতা দাঁড়িয়েছে কোনো কিছুকে সর্বজনীন রূপ দেওয়া গণহারে এই কাজ করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের ছেলেরা যে জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তাহলে কী আপনি বলবেন আওয়ামী লীগ বন্ধ করে দেন? সর্বজনীন সমস্যার দায় কেনো শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বর্তাবে? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এই সমাজে কী ধরণের নেতিবাচক ধারণা করা হয়, আপনাদের ভ্যাট আন্দোলন মনে আছে। দেখেন আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং শিক্ষক। ওখাকার শিক্ষার্থীরা কত টাকা দিয়ে পড়ে, ১৫-২০ টাকা টিউশন ফি দিয়ে। সরকার যখন ভ্যাট চাপানোর চিন্তা করল তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরই করল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা করার কোনো সাহস নাই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী নানান ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা নীতি-নির্ধারনী মহল,  মিডিয়া ও শিক্ষাবিদসহ সমস্ত জায়গা থেকে আছে।

বিরাজমান সমস্যার জন্য রাজনৈতিক সঙ্কটকেই কি দায়ী বলে মনে করেন?

আসিফ নজরুল : অবশ্যই কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতিটা ভূমিকা রাখে। শুধু গণতন্ত্র বলতে মনে হবে আমি ইলেকশনের কথা বলছি। আমি বলছি গণতন্ত্র মানেই শুধু জাতীয় ইলেকশন না। রেগুলার ডাকসু নির্বাচন করতে হবে, সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, ভিন্নমত চর্চাকারীরা ভিন্ন রাজনীতিবিদরা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে পারে এ ব্যবস্থা করতে হবে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদলের যে ভূমিকা, শিক্ষক সমিতিতে সাদা দলের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, তারা সেটা রাখছে? নাকি তারাও বড্ডো বেশি আপসকামী হয়ে উঠেছেন?

আসিফ নজরুল : এ অবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এটা ক্রমাগতভাবে হয়েছে। এরশাদের পতনের পর ক্রমাগতভাবে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন যে ক্ষমতায় এসেছে, তারা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের টুটি চেপে ধরার চেষ্টা করেছে।  ক্রমাগতভাবে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ আমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিরোধী কণ্ঠ ম্রিয়মান হয়েছে। এটার শোচনীয় অবস্থা চলছে এ যুগে এসে।  বর্তমানের যে চরম শোচনীয় অব্স্থা এটা একদিনে আওয়ামীলীগ করে নাই, দু’দলই ধারাবাহিকভাবে করেছে।

আপনি যেহেতু একজন শিক্ষক, তাই শিক্ষক রাজনীতি নিয়েই শেষ প্রশ্নটা করতে চাই। অন্যপন্থী শিক্ষকদের সুবিধা দিয়ে কিংবা ভিন্ন মতাবলম্বীরা সুবিধা নিয়ে তাদের মুখটা বন্ধ করে রেখেছে।  এমনকি শিক্ষকদের সমষ্টিগত দাবি-দাওয়া ব্যক্তিগত সুবিধার কাছে চাপা পড়ে গেছে। আপনি কি মনে করেন সাদা দলের শিক্ষকরা যথার্থ ভূমিকা পালন করছেন?

আসিফ নজরুল : একটা সময় ছিল অন্যপন্থী যারা শিক্ষক ছিল তাদের সুবিধা দিয়ে মুখটা বন্ধ করে দিত। কিন্তু এখন হয়েছে কী রাজনীতি একপাক্ষিক হয়ে গেছে এখন আর ঐটাও নাই। আপনাকে একটা উদাহরণ দেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাবের ইতিহাসে কখনো ইলেকশন হত না,  হত কী, কমিটি পরিবর্তন হত। একবার এক দল, পরের বার অন্যদলে দায়িত্বে থাকত। এবার দেখেন ঐটা পর্যন্ত পরিবর্তন করে নাই। আমি শুনেছি এমনভাবে বলা হয়েছে যে, এখন তো আমরাই সব জায়গায় যদি আমাদের কথা রাজি না হও ইলেকশন দিয়ে সব নিয়ে নিব আমরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩ থেকে ৫ বছরে যেই শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষক নিয়োগ হয় না ভোটার নিয়োগ হয়, ভোটে জেতার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৫ বছরে যে পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, যে পরিমাণ নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি এরকম ঘটনা পূর্বে কখনো ঘটেনি। এখন বিরোধী কণ্ঠ বা বিরোধী দলের কাউকে  সুযোগ সুবিধা দিয়ে মুখ বন্ধ করারও প্রয়োজন এখন আর নাই। দিনে দিনে অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিরোধী পক্ষ, বিরোধী দল, ভিন্ন মত তাদের বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিলেও চলে। সরকার পন্থী শিক্ষকদের, সরকার পন্থী ছাত্র সংগঠনের এখন ঐ জায়গায় চলে গেছে, এখন আর ঐটাও নাই আপনি যেটা বলেছেন এক সময় ছিল। কিন্তু এখন তা ধীরে ধীরে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে ৯১ পর থেকে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি মিলে দেশকে। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা এখন সবচেয়ে জঘন্যতম সময় পার করছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।