বরিশালে নতুন বই নিতে এসে শিক্ষকের হামলায় ছাত্র আহত!

হীরা, বরিশাল : বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই নিতে এসে সহকারী প্রধানশিক্ষক ভুপেন্দ্র নাথ হালদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র পরিমল ম-ল (১২)। বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায়। এনিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী এক বিষয়ে ফলাফল খারাপ করা শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অভিভাবকের সুপারিশপত্রসহ পাঁচশত টাকা জরিমানা ফি নির্ধারণ করা হয়। ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফলাফল খারাপ করে ২ জানুয়ারি জরিমানার টাকা নিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন বই আনতে যায় পরিমল। স্থানীয় কাজীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর বিজয় ম-ল অভিযোগ করেন, তার পুত্রকে ভর্তি না করে নানা তালবাহানা শুরু করে স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক ভুপেন নাথ হালদার। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি (ভুপেন) উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে বসেই তার পুত্রকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে তার পুত্রের (পরিমল) ডান কান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এসময় ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার ভয় দেখিয়ে স্কুল থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।
বিজয় ম-ল আরও অভিযোগ করেন, ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হরেন রায়, তার বড় ভাই হারতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ধীরেন রায়সহ অন্যান্যরা তার আহত পুত্রকে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ভুপেন্দ্র নাথ হালদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে রাখেন। ভয়ভীতি ও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় বলেন, ঘটনাটি সামান্য, যা হয়েছে তা তেমন কিছু নয়। আমি ওষুধ লিখে দিয়েছি ছেলেটি ভালো হয়ে যাবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বানী কান্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। পরে ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।