প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার ইতিবাচক দিক

আশরাফ-উল-আলম: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

১)সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলাম মানতে বাধ্য হচ্ছে।যেমনঃ এনজিও স্কুল, কেজি স্কুল, ইংরেজী মাধ্যম স্কুল।
২)শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে পিতামাতার নাম সঠিক রেখে একটা সনদ পাচ্ছে, যে সনদ অনুযায়ী পরবর্তী সনদ গুলো লেখা হচ্ছে।নামের ভুলগুলো এ স্তর থেকেই সংশোধন হয়ে যাচ্ছে।
২)কতজন প্রাথমিক শিখন চক্র সমাপ্ত করল তার একটা সহজ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।সে অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহন সহজ হচ্ছে।
৩)কতজন প্রাথমিক/মাধ্যমিক স্তর শেষ না করে ঝরে যাচ্ছে তাও সহজে জানা যাচ্ছে।
৪)শুধু পাশের কথা মাথায় রেখে হলেও পাঠদানে শিক্ষকগণ কিছুটা হলেও যত্নবান হচ্ছেন।
৫)সমাপনী না থাকলে ইংরেজী মাধ্যম এবং কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকের বই না পড়ালেও কিছু করার থাকতনা।
৫)আনন্দ স্কুলের মত ভুয়া ছাত্র দেখিয়ে স্কুল তৈরী বন্ধ হয়েছে।
৬)সমাপনীতে যেহেতু ৬ টি বিষয় থেকে প্রশ্ন হচ্ছে তাই শিশুরা অতিরিক্ত বই এর চাপ থেকে রেহাই পাচ্ছে।
৭)পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে অভিভাবকগণ ও কিছুটা দায়িত্ব পালন করছে।
৮)ছেলেমেয়েদের লেখার অভ্যাস তৈরী হচ্ছে।
৯)সার্টিফিকেট পাওয়ার বাড়তি আনন্দে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উঠার প্রেরণা লাভ করছে।যা বাল্যবিবাহ রোধে তা সহায়ক হচ্ছে।
১০)যোগ্যতা ভিত্তিক প্রশ্ন হওয়ায় নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
১১)একই সাথে বৃত্তি নির্ধারণ হয়ে যাচ্ছে, আলাদা পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছেনা।
১২)বিভিন্ন স্কুলের শিশু এক জায়গায় হয়ে বাড়তি আনন্দলাভ করছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।