যশোর শহরের বারান্দিপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তুহিন খান (১৯) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কদমতলা এলাকার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক তুহিন খান একই এলাকার জোনাব আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানান, কয়েক মাস ধরে তুহিন ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এজন্য তারা ভাড়া বাসা পরিবর্তন করে গত মাসে শহরের বারান্দিপাড়ায় চলে আসেন। ছাত্রীর বাবা অটোরিকশা চালক আর মা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ওই ছাত্রীর মা-বাবা কেউ বাসায় ছিলো না। এই সুযোগে তুহিন বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে ওই ছাত্রীর মা এসে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে ওই ছাত্রী নির্যাতনের কথা তার মাকে জানায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত করছেন।
আটক তুহিন জানায়, সে মেয়েটিকে ভালবাসে। বাসায় কেউ না থাকায় মেয়েটি তাকে ডেকে নিয়ে যায়।
মেয়েটি তাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে তুহিন।
যশোর কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার মো. মোকাদ্দেস হোসেন জানান, আটক তুহিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হচ্ছে।
by