প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল নিয়ে জটিলতা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সমিতির নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক,১২ জানুয়ারী : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত পদ্ধতিতে বেতন নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কাজ করছে কেন্দ্রীয় প্রধান শিক্ষক সমিতি। অচিরেই সমস্যা সমাধানের পথেই হাটছেন তারা। সুবিধা বঞ্চিতদের হতাশ না হয়ে শিক্ষাদানে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। গত বছরের ১৫ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব শামীম আসহান সাক্ষরিত জারিকৃত আদেশ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ওই আদেশে গুটি কয়েকজন প্রধান শিক্ষক সুবিধা পেলেও সিংহভাগই হয়েছে সুবিধা বঞ্চিত। সূত্রমতে, আদেশের ফলে ০৯-০৩-২০১৪ থেকে ১৪-১২-২০১৫ পর্যন্ত যাদের ১ম, ২য় এবং ৩য় টাইমস্কেল ডিউ হয়েছে তারাই বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে সমাধানের আশ্বাস দেন মাননীয় প্রাথমিক গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১টি। প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। সে হিসেব মতে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। ৫০ হাজার প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি হচ্ছেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত। সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজার। এছাড়া জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা এবং বেতনস্কেল দু’ধাপ উন্নীত করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের এক ধাপ বেতনস্কেল উন্নীত করার ঘোষণাও দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার ভিত্তিতে বেতনস্কেল নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্র লেনদেন করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। এছাড়া শিক্ষক নেতাদের সাথে বৈঠকের পর গত ১৫ নভেম্বর জারিকৃত আদেশে সারাদেশের প্রধান শিক্ষকদের সিংহভাগই বাদ পরেছে এ সুবিধা থেকে। কিছু সংখ্যক শিক্ষক এ সুবিধা পাওয়ায় সৃষ্টি হয় জটিলতার। তারই প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষক নেতাদের কাছে বঞ্চিত শিক্ষকদের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়। নেতৃবৃন্দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় তালিকা প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেছেন, প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল জটিলতা নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে পারবো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।