প্রাথমিকে বাইরে থেকে বদলি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বদলি নির্দেশিকার দুটি উপধারা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বদলিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং সচিবের সুপারিশের সুযোগ থাকল না। ফলে এখন থেকে ঢাকা শহরসহ সব জেলা-উপজেলা সদর, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় প্রাথমিকের আর কোনো শিক্ষক বাইরে থেকে বদলি হয়ে আসতে পারবেন না।মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা, ২০১৫-এর ১.২ ও ২.৮ উপধারা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। তবে এখন থেকে নির্দেশিকার ১.১ ধারা অনুযায়ী, সাধারণভাবে প্রতি শিক্ষাবছরের জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্ত উপজেলা/থানা, আন্ত জেলা, আন্ত সিটি করপোরেশন ও আন্ত বিভাগ বদলি চালু থাকবে।

নির্দেশিকার ১.২ ধারায় বলা হয়েছে, যুক্তিসংগত কারণে ১.১ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সময়ের মধ্যে বদলি সম্পন্ন করা না গেলে মন্ত্রণালয় যেকোনো সময়ের মধ্যে বদলি করতে পারবে। ২.৮ ধারা অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যেকোনো কারণে যেকোনো শিক্ষককে যেকোনো সময় বদলি করতে পারবে। তবে নতুন আদেশ জারির পর শিক্ষক বদলিতে মন্ত্রণালয়ের এত দিনের ক্ষমতা স্থগিত হলো।

আদেশে আরো বলা হয়, নির্দেশিকার অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে বদলি অধিক্ষেত্র অনুযায়ী সম্পাদন করতে হবে। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বদলিপ্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বদলি নিয়ে তদবির ও চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রতিবছর বদলির হাজার হাজার আবেদন ও তদবিরের চাপ আসে মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া বদলিতে অর্থ লেনদেন নিয়েও সরকারের ওপর মহলে কথা তুলেছেন কেউ কেউ। এসব কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষমন্ত্রী নিজেই আদেশ জারি করে বদলিতে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করেছেন।

জানা যায়, নানা মহলের চাহিদার কথা চিন্তা করে বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকাসহ জেলা ও পৌর সদরে বাইরে থেকে বদলি হয়ে আসার পথ খুলেছিলেন। তবে এই ক্ষমতা কেবল মন্ত্রণালয়েই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এর পর থেকেই ঢাকাসহ জেলা সদরে বদলি হতে আবেদন ও তদবিরে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রণালয় আগের অবস্থানে ফিরে গেল।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।