প্রাথমিকের টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম খুব শীঘ্রই।।

Image

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক,৩ এপ্রিল:

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ছুটিতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের মতো প্রাথমিকেরও পাঠদান কার্যক্রম টিভিতে স্প্রচারের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে প্রাথমিক স্তরে টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম।

প্রথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক জরুরি সভা করে টেলিভিশন ও একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তার মধ্যে রয়েছে- প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য বর্ণ ও বানান শিক্ষার ওপর শিক্ষকদের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে প্রচার এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রেণি পাঠ বাস্তবসম্মত করে তা প্রতিদিন টেলিভিশনে প্রচার করা।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের কাছে শ্রেণি পাঠের ভিডিও ধারণ কার্যক্রমে যুক্ত হতে নিবন্ধন করতে বলা হয়। সেখানে শতাধিক শিক্ষক নাম নিবন্ধন করলেও ৪০ জন শিক্ষককে নির্বাচন করে ডিপিই। নির্বাচিতদের কাছে রেকর্ডিং করা ভিডিও চাওয়া হলে শিক্ষকরা যে সব ভিডিও পাঠিয়েছেন তা এডিটি করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। তবে বেশির ভাগ শিক্ষকের পাঠ সন্তোসজনক। ছোট খাট সমস্যার কারণে সম্পচার করতে সমস্যা হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মোটেও ঠিক না। প্রাথমিকের বেশিরভাগ শিক্ষক এখন দক্ষ। আর যারা আইসিটিতে দক্ষ তারাই জেলা এম্বাসেডর। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষক নিজের ফোন দিয়ে ভিডিও করার জন্য অনেক ক্ষেত্রে রেজুলেশন বা এডিটিং সমস্যা হয়। আর যিনি এ কাজে দক্ষ তিনি অবশ্যয় আবেদন করতেন। আবেদন তো সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল!

নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। তবে দ্রুত এ পাঠদান শুরু হবে বলে তিনি জানান।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।