প্রধান শিক্ষকদের ক্লাস নেয়াসহ ১৫ নির্দেশনা প্রাথমিকে-সংশোধনের দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক,৩০জুন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১ম ও শেষ পিরিয়ডে ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে। যুগ্মসচিব মো. আব্দুল মান্নানের স্বাক্ষরিত পরিপত্রে শিক্ষকদের জন্য ১৫টি নির্দেশনা রয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলমুখী করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি নির্দেশনা গ্রহণ করেছে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্নকরণ, ক্লাস রুটিনে প্রথম পিরিয়ড ও শেষ পিরিয়ডে প্রধান শিক্ষককে ক্লাস নিতে হবে, শিক্ষকদের ক্লসে প্রবেশের পূর্বে ‘লেসন প্লান’ অনুযায়ী ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা, কন্টেন্ট বা লেসন প্লান নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে তা মূল্যায়ন করতে হবে, প্রতিটি শ্রেণিতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে যত্ন নিয়ে সক্ষমতা, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা, স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন, শিক্ষকদের আচার আচরণ ড্রেস কোড নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের ড্রেস প্রদান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ, স্বাস্থ্যগত পরামর্শ ও ফাস্ট এইড ব্যবহারসহ ১৫টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সব স্কুলগুলোকে এসব নির্দেশনা বাধ্যতামূলক অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়গুলো জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের মনিটরিং করার নির্দেশানও দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক স্কুলে ঝড়ে পড়ার হার রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে এমন পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা এসব নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দান বলেন প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের প্রান। একজন প্রধান শিক্ষক যেমন চান বিদ্যালয়টি তেমনই হতে পারে। সাধারনত বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষক ক্লাস রুটিন অনুযায়ী গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রথম এবং শেষ ক্লাসে সাধারনত বাংলা এবং ধর্ম বিষয়ে ক্লাস নেয়া হয়।  সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যহত হতে পারে বলে মনে করেন ঐ শিক্ষক নেতা।

এক্ষেত্রে পরিপত্র সংশোধন করে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দক্ষতা অনুযায়ী ক্লাস নেবার দাবী জানান তিনি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।