প্রধানদের ১০ এবং সহকারীদের ১২ তম গ্রেড কার্যকর হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক,১২ সেপ্টেম্বর:

সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণের ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় সরাসরি নাকচ করে তা ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সারা দেশের সহকারী শিক্ষকরা।


তবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের হতাশ না হওয়ার অনুরোধ করছেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

বুধবার কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রংপুর বিভাগের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপার ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রেড উন্নয়নের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। যত সমস্যাই আসুক শিক্ষকদের প্রস্তাবিত গ্রেড কার্যকর হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমরাও সেটাই মনে করি। খুব শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা হবে। সেই সাথে টাইমস্কেল সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-বৈষম্য কমানোসহ গ্রেড উন্নীতকরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা নাকচ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ ও সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২তে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।’ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা।

বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে পাঠদানের কাজ করেন সহকারী শিক্ষকেরা। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা স্কেলে। (কোর্টের রায় অনুসারে যেহেতু বকেয়াও পাবেন)। এছাড়া সহকারী শিক্ষকেরা বেতন পান ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা স্কেলে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।