প্রতিটি জেলায় আরও দু’টি করে হাইস্কুলের উদ্যোগ

ডেস্ক,১৮ জুলাই: সদেশের প্রতিটি জেলা শহরে নতুন করে একটি হাইস্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা নিয়েছে সরকার। জেলা শহরে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম হওয়ায় বেসরকারি পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনে পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উইং চিফদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সমন্বয় সভা করেন। সভায় জেলা প্রশাসকদের মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি তুলে ধরে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় গত বছরের ডিসি সম্মেলনে কুমিল্লার জেলা প্রশাসকের প্রস্তাব ছিল জেলা শহরে একটি হাইস্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় নতুন করে স্থাপন করতে হবে। জানা গেছে, এবারও ডিসি সম্মেলনে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে দেশের সব জেলা শহরে নতুন করে একটি হাইস্কুল ও একটি কলেজ  পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়। কারণ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বেশি হিসেবে অভিমত উঠে আসে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েও নানা সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে জানানো হয় বৈঠকে। এসব অভিমতের ভিত্তিতে দেশের যেসব জেলা শহরে নতুন হাইস্কুল ও গার্লস হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হবে। এরপরই বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) অরুণা বিশ্বাস  বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসি সম্মেলনে বিয়টি চূড়ান্ত হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন শিক্ষামন্ত্রী। কারণ এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।’

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সালমা জাহান বলেন, ‘প্রতিটি জেলা শহরে একটি করে হাইস্কুল ও একটি করে গার্লস স্কুল করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। একজন জেলা প্রশাসক চেয়েছেন। তার বিষয়টি ধরে সারাদেশের সব জেলার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে।’

শিক্ষা অধিদফতরের ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৬ হাজার ১০৯টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৩৫টি। তবে এ সময়ের মধ্যে আরও কিছু বেসরকারি বিদ্যালয়ের একামিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রতি অনুযায়ী আরও কিছু বিদ্যালয় সরকারি করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।