‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবি সরকারি কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি শেষ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন জাতীয়করণ করা কলেজশিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডার অন্তর্ভুক্ত না করা এবং জাতীয়করণ করা শিকদের নিয়োগ বিধিমালার দাবিতে দুই দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন বিসিএস ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকেরা। একই দাবিতে ৬-৮ জানুয়ারি টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের।

‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবি উত্থাপন করে বিসিএস শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের ফলে গতকাল দেশের সব সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), সব শিক্ষা বোর্ড, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজসহ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কোনো কর্মকর্তা দাফতরিক, প্রশাসনিক বা পাঠদান এবং পরীক্ষাগ্রহণ সংক্রান্ত কাজে অংশ নেননি। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের এ কর্মবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গতকাল ও আজকের পূর্বনির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত সব কর্মকর্তার কর্মবিরতি আজও চলবে।

রাজধানীর একাধিক সরকারি কলেজ ঘুরে দেখা গেছে এবং সারা দেশের সরকারি কলেজ সম্পর্কে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এ কর্মসূচি পালনের কারণে দেশের সব সরকারি কলেজ খোলা থাকলেও পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নেননি শিক্ষকেরা। ফলে স্থবির ও তালাবদ্ধ ছিল অনেক কলেজের শ্রেণিকক্ষ। রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে কলেজশিক্ষকেরা নিজ নিজ কলেজের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে কোথাও মানববন্ধন কোথাও মৌনমিছিল করেছেন। নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা মৌনমিছিল করেছেন। নরসিংদীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণের সময় তাদের হাতে ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ প্লাকার্ড ছিল।
কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী বিসিএস শিক্ষক ও ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজশিক্ষকদের যদি শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে আত্তীকরণ করা হয় তাহলে লাগাতার অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।

সমিতির নেতারা বলেন, কলেজ জাতীয়করণের বিরুদ্ধে নয় সমিতি ও এর সদস্যরা। বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের চাকরি বদলিযোগ্য হবে না’ মানতে হবে। তাদের চাকরি নিজ নিজ কলেজেই সুনির্দিষ্ট হতে হবে।

বিসিএস সাধারণ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, জাতীয়করণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন এবং শিক্ষানীতির নির্দেশনার বাইরে যাওয়া যাবে না। জাতীয়করণকৃতদের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি মাসেও তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।