দামুড়হুদায় গত ২দিনে কৃমি নাশক ট্যাবলে খেয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ ॥

সংবাদদাতা,দামুড়হুদা,চুয়াডাঙ্গা,৩এপ্রিল ॥ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত ২ দিনে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে আসমা খাতুন, সালমা খাতুন, আনিকা তাবাস্সুম, খাদিজা, আখি তারা, শিল্পী রুমি, লাবনী, সেতু, মিষ্টি, রেবেকা, তাছলিমা, আম্বিয়া, শামসুননাহার, সোনিয়া সহ প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ উপলক্ষ্যে রোববার এবং সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। প্রথমে কার্পাসডাঙ্গা হাদিকাতুল উলুম দাখিল মহিলা মাদ্রাসায় ১’শ জন শিক্ষাথীর মাথা ঘুরতে শুরু করে পরে তারা বমি করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর, পীরপুরকুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ওসমানপুর সপ্রাবি ও কার্পাসডাঙ্গা মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের আরও ৫০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-ক্লিনিক গুলোতে স্যালাইনের অভাব এবং সেখানে ঔষুধ ও চিকিৎসকের সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকেরা।
খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওঃ আজিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী রফিকুল হাসান এবং পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোঃ জামাল শুভ জানান, খালি পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ার পরে অতিরিক্ত গরমে শিক্ষার্থীদের পেটে সমস্যার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। আশা করা হচ্ছে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আলি হোসেন জানান, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা কৃমিনাশক ট্যাবলেট সেবন করেছে। এখন পর্যন্ত কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তবে চিকিৎসা চলছে অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। # #

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।