দামুড়হুদার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৭ জন দফতরি গত ৩ মাস ধরে বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রুত বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৭ জন দফতরি কর্মরত রয়েছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং চলতি মাসসহ ৩ মাস ৪৭ জন দফতরিও বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তাদের বেতন-ভাতা দেয়া যাচ্ছে না।

দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক এবং দামুড়হুদা উপজেলা অফিস সহায়ক (দফতরি) সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আলামিন বলেন, ‘নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু গত দুই মাসসহ চলতিমাসের বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম অর্থকষ্টে ভুগছি।’

দামুড়হুদা উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়কদের উপদেষ্ঠা মহিদুল বলেন ‘বেতনের টাকায় চলে আমাদের পরিবার। কিন্তু বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবারের খাবার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।’ দর্শনা পূর্বরামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশীদ বলেন, অফিস সহায়করা কাজ করছে কিন্তু বেতন পাচ্ছে না। আমরাও কিছু করতে পাচ্ছি না। বিষয়টা আমাদের খুব ব্যথিত করছে।’

দামুড়হুদা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল বলেন, বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহাকারী শিক্ষকরা নিজেদের বেতন থেকে প্রতিমাসে দফতরিদের কিছু টাকা ধার দিচ্ছেন। তবে এতে তাদের অর্থকষ্ট দূর হচ্ছে না। আমরা দ্রুত তাদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।

দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর জাহান বলেন, বেতন-ভাতা না পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরিরা চরম অর্থকষ্টে রয়েছেন। দ্রুত বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ব্যপারে প্রাথমিক অধিদফতরে সব সময় যোগাযোগ করছি। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তাদের বেতন-ভাতা দেয়া যাচ্ছে না।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।