ঢাবির সান্ধ্যকালীন কোর্সের লাগাম টানার প্রস্তাব

ঢাবি প্রতিনিধি,১৭ জুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)বিভিন্ন বিভাগে চালু সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিষয়ে নতুন করে ভাবার প্রস্তাব উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন সিনেটে এ প্রস্তাব দেন।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাষির্ক অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাব দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অধ্যাপক কামাল উদ্দীন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে চালুকৃত সান্ধ্যকালীন কোর্সে নিম্নমানের গ্র্যাজুয়েট তৈরির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহনি ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় এ ব্যাধি সংক্রামিত হওয়ার পূর্বে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

নামে-বেনামে অসংখ্য সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রাম খোলা, কখনও কখনও নামমাত্র বা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া নিম্নমানের শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য বেশি ছাত্র, বেশি টাকা। তবে আশার বিষয় হচ্ছে কয়েকটি মাত্র ইনিস্টিটিউট এবং বিভাগ এ ধরনের শিক্ষা-বাণিজ্যে জড়িত, যা মোট বিভাগের ১০ ভাগের বেশি নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় কোষাধ্যক্ষ চারটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলো হল- উপ উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে এসব সান্ধ্যকালীন ও বিভিন্ন ট্রেনিং কর্মকাণ্ডের উপর বিশদ রিপোর্ট তৈরি করে উপাচার্যের নিকট পেশ করা, বর্তমানে সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামের আয়ের ৩০ ভাগ থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে জমা দেয়া। সেখান থেকে ১০ ভাগ যেসব বিভাগে এসব কোর্স নেই সেখানে ব্যয় করা। এছাড়া নুতন বিভাগ খোলা হলে সেখানে তিন বছর পর্যন্ত কোন কোর্স না খোলা এবং চাকরির পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত আয়ের ১০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়কে না দিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অধ্যাপক কামাল উদ্দীন সীমিত পর্যায়ে এসব কোর্স চালু রাখা, মান নিশ্চিত, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তুলনায় সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম রাখার পক্ষে মত দেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।