ডায়াবেটিস ডায়েট নিয়ে ভুল ধারণা

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ডায়াবেটিস থাকা অবস্থায় ওজন কমানোটা খুব কঠিন ব্যাপার। এ ছাড়া ডায়াবেটিস হলে খাবার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বেশি কিছু প্রচলিত ধারণা। যা আমরা যুগ যুগ ধরে মেনে চলে আসছি। তবে এই প্রচলিত ধারণাগুলো থেকে আপনি এবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

ডায়াবেটিস ডায়েটে থেকেও আপনি অনেক কিছু খেতে পারেন আবার অনেক খাবার খাচ্ছেন, যা আপনার খাওয়া ঠিক হচ্ছে না। আসুন জেনে নিই ডায়াবেটিস ডায়েট নিয়ে সঠিক কিছু তথ্য।

মিষ্টান্ন

যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য মিষ্টি এক প্রকার নিষিদ্ধ বলা চলে। কিন্তু ব্যাপারটি একেবারেই সে রকম নয়। এখন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিন্ন মিষ্টি পাওয়া যায়। যা খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়ে না। আপনি ডায়াবেটিসের রোগী হলে খাওয়ার পর এই মিষ্টান্ন খেতে পারেন। এ ছাড়া সারা দিনে আপনার খাবারে ক্যালরি এবং কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকলে রাতে খাওয়ার পর একটু মিষ্টি আপনি খেতে পারেন। তবে পরিমাণ ঠিক রাখবেন।

কোন খাবার কতটুকু খাচ্ছেন

একটি কথা প্রচলিত ছিল যে, আপনি কী খাচ্ছেন তা ব্যাপার নয় কিন্তু কতটুকু খাচ্ছেন সেটা ব্যাপার। আসলে দুটোই ব্যাপার। আপনি যদি বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিমাণে কম খান এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিমাণে বেশি খান তাহলে তার পরিণাম কাছাকাছি। তাই আপনি কী খাচ্ছেন কতটুকু খাচ্ছেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য।

যত পরিশ্রম তত খাবার

আমাদের অনেকের মধ্যে এরকম ধারণা রয়েছে যে, বেশি বেশি করে পরিশ্রম করলে বেশি বেশি খাবার খাওয়া দরকার। তা নয়। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে পরিশ্রমের পাশাপাশি আপনাকে খাবারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন হাঁটা বাধ্যতামূলক। তাই বলে বেশি খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

না খেয়ে ওজন কমানো

অনেকে মনে করেন, না খেয়ে থাকলে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব। এটি একটি বড় ভুল ধারণা। যার ওজন যতই বেশি হোক না কেন, ডাক্তাররা বলেন কখনোই খাবার বন্ধ দেবেন না, বিশেষ করে সকালের খাবার। না খেয়ে থাকলে আপনার ওজন কমবে ঠিকই এর সঙ্গে সঙ্গে আপনি শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়বেন। তাই কখনো না খেয়ে ওজন কমানোর কথা ভাববেন না। আর ডায়াবেটিসের রোগীরা অবশ্যই পরিমাণ ঠিক রেখে তিনবারের খাবার নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করুন।

ফাস্ট ফুড

আমরা মোটামুটি সবাই এখন ফাস্ট ফুডের ব্যাপারে বেশ সচেতন। আমরা মনে করি ফাস্ট ফুড আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়। এটি শুধু আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। কিন্তু তা নয়। এর কিছু ভালো দিকও রয়েছে। যেমন আপনি কম ক্যালরি সসযুক্ত সালাদ খেতে পারেন, বার্গারের পরিবর্তে চিকেন পেটিস খেতে পারেন। কম ক্যালরিযুক্ত স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। যা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এ ছাড়া মেয়নিজ এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন চিনি ছাড়া চা বা কফি খাওয়ার।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।