জুনিয়র শিক্ষকদের ব্যবহারে বিব্রত সিনিয়ররা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ইংরেজি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরূপ আচরণে বিব্রত হন সিনিয়র অধ্যাপকসহ প্রক্টরিয়াল বডির বেশ কয়েকজন সদস্য। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার আব্দুল্লাহ হিল মাবুদ জুয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রীদের প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট গেট দিয়ে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক আনসার সদস্য তাকে বাধা দেয়।

পরে রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যরা তাকে শিক্ষক হিসেবে চিনতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু ওই শিক্ষক নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেন বলে ভুক্তভোগী ওই আনসার সদস্য এবং বিএনসিসি সদস্যরা জানিয়েছেন।

এরপরে ওই শিক্ষক অনুষদ ভবনের সামনে আসেন। সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কেএম সালেহ এর সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ছুটে আসেন।

এ সময় সহকারী প্রক্টর রুহুল আমিন তার ভাষা সংযত করতে বললে ওই শিক্ষক তার দিকে তেড়ে আসেন। উপস্থিত শিক্ষকরা বারবার তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি প্রক্টরিয়াল বডির দিকে তেড়ে যান। প্রক্টরিয়াল বডিল আরও এক সদস্য আব্দুর রহিমের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন বলেও জানা যায়। এ চিৎকার চেঁচামেচির ঘটনায় কয়েক মিটার দূরেই পরীক্ষারত ভর্তিচ্ছুদের বারবার মনোযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটেছে বলে কয়েকজন পরীক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।

এর আগেও একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ওই শিক্ষক বাসে বসা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, জুনিয়র ওই শিক্ষকের মধ্যে কোন নম্রতা, ভদ্রতা, সৌজন্যতা নেই। তার আচার আচরণ ব্যবহার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ক্যাডারদের সমপর্যায়ের। শোনা যায় তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক রুহুল কে এম সালেহ  বলেন,আমার ধারণা সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিল। তার কোন আচরণই স্বাভাবিক ছিল না।

অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার আব্দুল্লাহ হিল মাবুদ জুয়েল  বলেন, আমি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মেয়েদের লাইনে ঢুকে পড়েছি। সেখানে এক আনসার সদস্যের হাতে হেনস্তা হয়ে আমার মাথা ঠিক ছিল না। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাদক সেবনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন,ঘটনা জানার পরই প্রধান ফটকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হয়েছি আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত কোন সদস্য তার সঙ্গে ন্যূনতম কোন খারাপ আচরণ করেনি। যারা নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।