আশরাফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ॥ নিজ কলেজের ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজাকে কলেজ ক্যাম্পাসের ওই সরকারী বাস ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অধ্যক্ষের বিচার দাবীতে দফায় দফায় মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা ।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৫টার দিকে হোস্টেলের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষ বদরুদ্দোজা তার সরকারী বাস ভাবনে ডেকে পাঠান। মেয়েটি সেখানে গেলে ফাঁকা বাসার দোতালার একটি কক্ষে নিয়ে যান অধ্যক্ষ। মেয়েটি অস্বতী দাবী তুলে অধ্যক্ষ দু’আঙ্গুলের সতীত্ব পরীক্ষা করতে চান। এসময় মেয়েটি বাধা দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন। মেয়েটি সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের জানালে তারা অধ্যক্ষের বাসভবনে হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসভবনের একতলা ও দোতলায় থাকা ফ্রিজ, আলমারী, রাইসকুকার, ড্রেসিং টেবিলসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী গুঁড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ ওই বাস ভবনে সপরিবারে বসবাস করলেও তার স্ত্রীসহ অন্যরা বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি একা ছিলেন ওই বাড়িতে।
অধ্যক্ষ বদরুদ্দোজা ওই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব বা গায়ে হাত দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও, ছাত্রীর সাথে দোতালার একটি কক্ষে দশ মিনিট ধরে কথা বলার ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন। সে সময় ঐ বাসভবনের ভেতরে ছাত্রীটি বাদে অন্য কেউ ছিল না বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে অধ্যক্ষের বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
by