চুয়াডাঙ্গায় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর ঈদ বোনাস পাইনি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার এমপিওভুক্ত ৩৪টি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে মূল বেতনের মাত্র ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাসও জুটলো না ভাগ্যে । ঈদ বোনাস নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইদুর বিড়াল খেলা আর সোনালী ব্যাংকের ক্ষমাহীন গাফলতির কারনে ঈদ বোনাসের স্মারক নম্বর ব্যাংকের শেষ কার্য দিবসেও এসে পৌঁছাইনি । ফলে উপজেলার ৮শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারে এবার ঈদের আনন্দ পন্ড হতে বসেছে।
জানা গেছে, গত সোমবার নানা নাটকীয়তার পর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পর ঈদ বোনাসের অর্থ ছাড় করা হয় এবং গত বৃহ¯পতিবার ছিল উক্ত টাকা উত্তোলনের শেষ তারিখ। বোনাসের টাকা উত্তোলনের জন্য সকাল থেকেই শিক্ষক কর্মচারীরা জীবননগর সোনালী ব্যাংকে এসে ভীড় জমায়। কিন্তু সারাদিনের অপেক্ষার পর বিকালে জানিয়ে দেয়া হয় আর বোনাস দেয়া সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত স্মারক কপি আসেনি। ১ জুলাই থেকে সরকারি ছুটি থাকায় ঈদের আগে আর তাদের বোনাসের অর্থ দেয়া সম্ভব হবে না।
শিক্ষক-কর্মচারিরা অভিযোগ করে বলেন, সোনালী ব্যাংকের গাফলতির কারনে কোনো মাসেই এ উপজেলায় শিক্ষকরা সময়মত বেতন তুলতে পারেন না। গত মাসের বেতনের শেষ সময় সরকার ১৫ তারিখ ঘোষনা করলেও জীবননগর সোনালী ব্যাংকে বিল জমা হয়েছে ৫ দিন পর ১৯ তারিখ। অথচ পাশ্ববর্তী রুপালী ব্যাংক ১৪ তারিখেই বেতন প্রদান করেছে। প্রতি মাসেই এখানে একই ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটে। তারা আরো বলেন সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা অফিসের গাফলতির কারনে সেখানেই শিক্ষকদের বিলশিট ফাইল চাপ পড়ে থাকে। প্রায় মাসেই নির্ধারিত তারিখের পর শিক্ষকরা নিজ গরজে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে বিল নিয়ে আসে।
জীবননগর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদ জানান, আমাদেও সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্বেও অর্ডার শিট না আসায় শিক্ষকদের বোনাসের অর্থ দেয়া সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে আমার কোন গাফিলতি নেই।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।