খেলার মাঠ রক্ষায় পুকুরপাড়ে শিশু শিক্ষার্থীদের অবস্থান, চুয়াডাঙ্গার নূরনগর-জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে পদস্থ কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নূরনগর-জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠটি গ্রাস করছে পাশের পুকুর। গতকাল রোববার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার আগে মাঠগ্রাসী পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ভাঙন রোধে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কোমলমতি শিক্ষাথীরা। পুকুরের ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠটি কিছুদিন পর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের অদূরেই নূরনগর-জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিন একজর জমির ওপর ১৯৩৩ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির অবকাঠামো। উন্নয়নের ছোঁয়ালাগে মূলত ১৯৮৫ সালে। সম্প্রতি নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৫২। তিনটি গ্রামের শিশু-কিশোরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছর ধরে সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার গৌরব অর্জন করে চলেছে। এ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সেখানে শিশু শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ হিসেবে কাজে লাগাতে হচ্ছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন জাফরপুর-বেলগাছি সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারণে ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কটি সংস্কার করা যেমন দরকার, তেমনই দরকার বিদ্যালয়ের সীমানা পাঁচিল। পাঁচিল দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পূর্বপ্রান্তের বিশাল পুকুরের পাড় বাধা জরুরি হয়ে পড়েছে। পুকুরের ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি বিলিন হতে বসেছে। তাছাড়া ওই ঝুঁকিপূর্ণ পাড় মাড়িয়েই শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। অভিভাবকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পুকুরপাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকলেও তেমন কেউই এদিকে নজর দেননি। গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে ভাঙন রোধের দাবি জানিয়ে বলেছে, ভাঙনের স্থানে মৃত্যুফাঁদ হয়ে রয়েছে। কবে যে কার ওতে পড়ে মরতে হবে কে জানে!
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নতুন সভাপতি মহাবুল হোসেন বলেছেন, বিদ্যালয়টির সীমানা পাঁচিল না থাকার কারণে শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হয়, তেমনই পুকুরের ভাঙনের কারণে স্কুলের জমি হারিয়ে যাচ্ছে। পুকুর মলিকদের এদিকে তেমন নজর নেই। ফলে শিক্ষা বিভাগের এদিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার। অপরদিকে বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা নাসিম বলেছেন, বিষয়টি ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।