মেহেরপুরের গাংনীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০৩ জন প্রধান শিক্ষককে করেসপন্ডিং স্কেলে উত্তোলন করা বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার যোগসাজশে শিক্ষকরা করেসপন্ডিং স্কেল গ্রহণ করে অতিরিক্ত বেতন উত্তোলন করেন।
সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না করা হলেও কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ভুয়া পরিপত্র করে সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কাশেমের যোগসাজশে বেতন সমন্বয় করেন। ১০৩ জন প্রধান শিক্ষক প্রায় কোটি টাকা অতিরিক্ত বেতন উত্তোলন করেন। সে সময় সরকারি ও নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা মোটা অংকের টাকা উেকাচ দিয়ে বেতন সমন্বয় করে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। পরে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হন।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নতুন উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা যোগদান করেন এবং প্রধান শিক্ষকদের চাকরির নথিপত্র যাচাই করলে করেসপন্ডিং স্কেলের অনিয়ম ধরা পড়ে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি দপ্তরে খোঁজ নিয়ে করেসপন্ডিং স্কেলের কোনো পরিপত্র না পেয়ে শিক্ষা অফিসকে একটি পত্র দেন। পত্রে ১০৩ জন প্রধান শিক্ষককে তাদের উত্তোলন করা সমুদয় টাকা ফেরত ও পুনরায় বেতন সমন্বয় করে হিসাব রক্ষণ অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, করেসপন্ডিং স্কেল বলে কোনো পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়নি।
আগের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বিষয়টি না জেনে ও যাচাই না করেই স্বাক্ষর করেছেন। উত্তোলন করা টাকা জমা না দিলে ওই সকল প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখা হবে। গাংনী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এহসানুল হাবিব জানান, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা কিভাবে করেসপন্ডিং স্কেল দেয়ার সুপারিশ করেছেন তা জানা নেই। আইনানুযায়ী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা যে পত্র পাঠিয়েছেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধু মেহেরপুর নয়। মেহেরপুর জেলার পাশ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার জাতীয়করন শিক্ষকদের ক্রসপংডিং বেতন দেবায় ক্ষেপে উঠেছে অনান্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বিষয়টি অধিদপ্তর পর্যন্ত জানিয়েও হয়নি কোন ফয়সালা। পুনরায় বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবী জানিয়েছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা।