কমছে প্রাথমিকের সময়সূচি

অনলাইন ড‌েস্কঃ

গত ২৯ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম সকাল ৯টায় শুরু করে বিকাল সোয়া ৪টায় শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয় । আগের চেয়ে নতুন সময় সূচিতে ৩০ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় । এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরু হয়ে বিকাল সোয়া ৪টায় শেষ হতো । নতুন এই ঘোষণার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় । তারা সময় কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন ৷ অবশেষে তাদের সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। |

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির নতুন সময় সূচি কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন । তিনি বলেন, নতুন রুটিন শিক্ষার্থীদের জন্য মানা সম্ভব নয় । দীর্ঘ সময় ধরে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে থাকতে চায় না। তেমনি শিক্ষকদের মানসিকতাও ঠিক রাখা কঠিন। তাই বিষয়টির দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি গত বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিমত প্রকাশ করেন । প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের নতুন সময় সূচি মানা অসম্ভব । ক্লাস রুটিন অনুযায়ী একটা বাচ্চাকে সকাল ৯টায় স্কুলে আসতে হবে । আর যাবে বিকাল ৩টায়। এটা অসম্ভব। যদি আমি নিজে ছাত্র হতাম তাহলে স্কুল থেকে পালিয়ে যেতাম। স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ছোটবেলায় দুষ্টু ছিলাম । মাইন্ড কইরেন না । আমারও বিদ্রোহী ভাব ছিলো । যাই হোক, এত সময়, আমরা সময়টাকেও কমিয়ে দিতে চাই। শিক্ষকরাও তো সকাল ৯টায় টায় আসেন । তাদেরও তো ব্রেইন, তাদেরও তো মানসিকতা ঠিক থাকে না । সবার এই জিনিসগুলো লক্ষ্য করতে হবে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরির্দশন করেন। তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী শূন্য দেখতে পান । খোঁজ-খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন যে, শিক্ষকরা ইচ্ছামতো ক্লাস কার্যত্রম পরিচালনা করে থাকেন । মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সিলেবাস ও শিক্ষাপঞ্জি অনুসরণ করা হচ্ছে না । নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি ও বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।