এবার হবে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ উন্নতমানের নিরাপদ ভ্রমণ দলিল ‘ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট’ প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং দেশের ৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আরও নতুন প্রযুক্তি এসে গেছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্টও আমরা ইনশায়াল্লাহ তৈরি করব, এ পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটছে। এই অধিদপ্তরকে ডিজিটাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে রবিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভবনগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ছাড়াও মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পাবনা, পটুয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও দিনাজপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।

পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেক্টরকে আরও আধুনিক সেক্টরে পরিণত করতে চাই। আমাদের সরকার পাসপোর্ট সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চায়। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ২০১০ সাল থেকে এমআরপি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় এবং ‘পর্যায়ক্রমিকভাবে’ তা বাস্তবায়ন করা হয়। ইতোমধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং তিন লাখ ২৬ হাজার মেশিন রিডেবল ভিসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় পূর্ববর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৬৫টি মিশনে পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী দেশের অগ্রগতিসহ পাসপোর্ট অধিদফতরের উন্নয়নে তার সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তুলে ধরেন এমআরপি কার্যক্রমেরও বিভিন্ন দিকও নিয়ে কথো বলেন। এমআরপি সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দনও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদের সমালোচনা করেন। ‘১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা নিজেদের ভাগ্য গড়তে যতটা ব্যস্ত ছিল, মানুষের ভাগ্য গড়তে ততটা পদক্ষেপ নেয়নি।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে পাসপোর্ট অফিস স্থাপন ও জনবল বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন থেকেই ক্ষমতায় এসেছি তখন থেকেই সব এলাকায় পাসপোর্ট অফিস তৈরির কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তব্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।

– See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/187204/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80#sthash.HracNKPo.dpuf

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।