ইসলামপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরে যমুনার চরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে চর বরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক গণিত পরীক্ষা চলাকালে সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়টিতে প্রাক প্রাথমিকসহ সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত ৫জন শিক্ষক কর্মরত থাকার কথা থাকলেও ওই দিন কর্মরত এক জনকেও পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ে আসা কয়েক জন ছাত্র/ছাত্রীর বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে পক্সি শিক্ষক আবু কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী নাছিমা।এলাকাবাসী জানায়, প্রধান শিক্ষক রমজান আলী ও তার স্ত্রী সহকারি সাহিদা স্কুল ফাঁকি দিয়ে মাসের পর মাস জামালপুরে অবস্থান করায় অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরাও মাসে এক দিনও স্কুলে আসে না।
যার ফলে বিদ্যালয়টি পাঠদান কার্যক্রম বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। শ্ক্ষিার কোন পরিবেশই নেই বিদ্যালয়টিতে। চারি দিকে মৌঁচাকের বাসা বেঁধেছে বিদ্যালয়টিতে।
শিক্ষক না আসায়,লেখা পড়া না হওয়ায় ঝড়ে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ,শিক্ষা অফিস থেকে কেউ খুজঁও নেয় না বিদ্যালটিতে।
জানা গেছে,মাসে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে আবু কালাম আজাদ নামে এক জন পক্সি শিক্ষক দিয়ে নাম মাত্র স্কুল খোলা রেখে সরকারের টাকা আত্বসাত করছে শিক্ষকরা। বিদ্যালয় টিতে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক হাজিরা কোন খাতা পাওয়া যায়নি।
পক্সি শিক্ষক আবু কালাম আজাদ জানান,শিক্ষক হাজিরা খাতা প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকে;আমি কিছুই জানি না। জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে রমজান আলী নামে একজন প্রধান শিক্ষক,সাহিদা,শারমিন,লাভলী ও তোফাসহ ৫জন শিক্ষক ও প্রথম শ্রেনিতে ৫০,দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪৭.তৃতীয় শ্রেনিতে ৩০,চতুর্থ শ্রেনিতে ২৫ ও সমাপনী ৫জন সহ মোট ১৮২জন ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে।
ছাত্রী/ছাত্রী অভিভাবক কুদ্দুস, নজর দেওয়ানী,নাছিমা শাহিন মোতালেক দেওয়ানী ও শাহজাহান জানান বিদ্যালয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকার না আসার কারণে আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালটির প্রায় ১০বছর ধরে কমিটির কোন অস্তিত নেই বলেও জানান এলাকাবাসী। বিদ্যালয়টি উন্নয়নে সরকারি বরাদ্ধ আসলেও তা কাজ না করে ভূয়া বিল-ভাওচারে আত্বসাত করে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
এব্যাপারে ক্লাস্টার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার খুরশেদ আলম চৌধুরী জানান,আপনারা পত্রিকায় রিপোর্ট লিখেন,বিদ্যালয়টিতে যাতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসে এ জন্য তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
by