আলোকিত হচ্ছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর বিদ্যালয়ে যাওয়ার উপযোগী শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। বেসরকারি হিসাবে এই হার ৯৭ শতাংশ।

তবে যে শিশুরা স্কুলে ভর্তি হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশই পঞ্চম শ্রেণি শেষ না করেই ঝরে যায়। সব মিলিয়ে এখনো ২৪ শতাংশ শিশু প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে পারছে না। এ অবস্থায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে  শিক্ষার মূল স্রোতে শামিল করতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আলোকিত হচ্ছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। এসব নতুন উদ্যোগের ফলে বাদ পড়া শিশুরা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি ঝরে পড়ার হার অনেকাংশে কমবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার শিক্ষাবান্ধব নানা উদ্যোগ নেওয়ায় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলেও প্রভাব পড়েছে।এবারই প্রথম পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বই পাচ্ছে শিশুরা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও প্রথমবারের মতো বিনা মূল্যে পাচ্ছে ব্রেইল বই। অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নে হচ্ছে অটিস্টিক একাডেমি। প্রাথমিকে শিশুদের ঝরে পড়া রোধে সব শিশুকে আনা হয়েছে উপবৃত্তির আওতায়। প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, এমন এক হাজার ৫০০ গ্রাম বাছাই করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে গত বছর। সরকারি হোক বা বেসরকারি, জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় স্থাপন করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে ডিজিটাল টেক্সটবুক। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দূরদর্শিতায় একের পর এক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

এ ছাড়া খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাগের বোঝা কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও কমছে বইয়ের বোঝা।

এবার প্রথমবারের মতো পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২৪ হাজার ৬৬১ শিশুকে বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে ৫১ হাজার ৭৮২টি বই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা প্রথম স্কুলে গিয়ে বাংলা ভাষা ঠিকমতো বোঝে না। তাই অনেকেই ঠিকমতো পড়ালেখা করে না। এ জন্য চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা—এ পাঁচ ভাষার শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক স্তরে তাদের মাতৃভাষায় বই দেওয়া হচ্ছে। এবারই প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বইও ছাপানো হয়েছে। এক হাজার ২৩১ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে ৯ হাজার ৭০৩টি ব্রেইল বই। পাঠদানের সুবিধার্থে এবার শিক্ষকদের জন্য এক কোটি ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৮টি ‘শিক্ষক নির্দেশিকা’ বিতরণ করা হচ্ছে। কিভাবে পড়াতে হবে, সে বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশনা থাকবে তাতে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘নৃগোষ্ঠীদের সব ভাষার লিপি নেই, সাহিত্য নেই, লেখা নেই। যা আছে, আমরা চাই সেটাতেই তারা শিখুক। কারণ শিশুরা প্রথম স্কুলে গিয়েই বাংলা ভাষা ঠিকমতো বোঝে না। তাই পাঁচ ভাষার শিশুদের জন্য এবারই প্রথম প্রাক-প্রাথমিক স্তরে বই দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্রেইল বইও তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এ ব্যাপারে জরিপ চলছে। আগামীতে সব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীই ব্রেইল বই পাবে। শিক্ষা খাতে সব জনগোষ্ঠীই যাতে সমান সুযোগ পায়, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সমতা অর্জন করেছি। পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষায়ও সমতা অর্জিত হবে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল বিনা মূল্যে বই বিতরণ। এ ছাড়া প্রাথমিকে এখন শতভাগ শিশু স্কুলে আসছে, সেটাও আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারিগরি শিক্ষায়ও আমরা যথেষ্ট উন্নতি করেছি। এখন শিক্ষার গুণগত মান অর্জন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। ’

শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, গত সাত বছরে সরকারের অন্যতম অর্জন সব শিশুকে বছরের প্রথম দিনেই বিনা মূল্যের বই তুলে দেওয়া। এটা একটি বড় দৃষ্টান্ত। গত সাত বছরে প্রায় ২৬ কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯০ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। আর ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে চার কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই, যা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত। ২০১৫ সালের মে মাসে কোরিয়ার ইনচনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলনে ১৪০টি দেশের শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিনা মূল্যে এত বিশালসংখ্যক বই বিতরণের কথা শুনে অন্যরা বিস্ময় প্রকাশ করেন।

দেশে অটিস্টিক শিশুদের উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তেমন একটা না থাকায় বিপাকে আছেন অভিভাবকরা। উচ্চবিত্ত অভিভাবকরা বেসরকারিভাবে এসব শিশুর শিক্ষার উদ্যোগ নিতে পারলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ক্ষেত্রে সুযোগ তেমন একটা নেই। তবে সরকার ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব অটিস্টিক একাডেমি প্রজেক্ট’ স্থাপনের মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বড় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই একাডেমি স্থাপন প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের ভবন স্থাপনের জন্য সরকার পূর্বাচলে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। আর সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, কর্মশালার মতো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

একজন শিশুও যাতে প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে না থাকে সে লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গত বছর থেকে প্রাথমিকের সব শিশুই এসেছে উপবৃত্তির আওতায়। আগে ৭৮ লাখ শিশু উপবৃত্তির আওতায় ছিল, এখন আছে এক কোটি ৩০ লাখ শিশু। প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে আগের মতোই সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকার স্কুলগুলো উপবৃত্তির বাইরে রাখা হয়েছে।

শতভাগ শিশুর উপবৃত্তি দেওয়ার পেছনে কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, এখন বিনা মূল্যে বই দেওয়া হয় এবং স্কুলেও বেতন দিতে হয় না। শুধু দরকার হয় খাতা-কলম কেনা। শিশুদের প্রতি মাসে উপবৃত্তি দেওয়া হলে ওই টাকা দিয়েই তা কিনতে পারবেন অভিভাবকরা। আর যদি পড়ালেখার জন্য কোনো খরচই দিতে না হয় তাহলে অভিভাবকরা অবশ্যই শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন। আগে হাতে হাতে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হতো। অভিযোগ ছিল, শিক্ষকরাও অনেক সময় বেশির ভাগ টাকা নানা অজুহাতে কেটে রাখতেন। যা পাওয়া যেত তা দিয়ে শিশুরা শিক্ষা সরঞ্জাম কিনত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পড়ালেখার পেছনে উপবৃত্তির টাকা সেভাবে ব্যয় হতো না। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে অভিভাবকদের মোবাইলে। রূপালী ব্যাংকের ‘শিউর ক্যাশ’-এর মাধ্যমে এ টাকা দেওয়া হবে।

বিদ্যালয়হীন এক হাজার ৫০০ গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজও প্রায় শেষের পথে। বেশির ভাগ স্কুলেই ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়হীন গ্রামের শিশুরা সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষায়। অথচ বিদ্যালয় না থাকায় এসব এলাকার শিশুরা লেখাপড়ার পরিবর্তে ছোটোবেলা থেকেই কৃষিকাজ, মাছ ধরাসহ নানা কাজে জড়িয়ে পড়ছিল।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ৩৬ হাজার ৮৪৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরশাদ ও বিএনপি সরকারের আমলে মাত্র চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হয়। ২০০৮ সালের এক জরিপে ১৬ হাজার ১৪২টি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই বলে জানা যায়। তবে সরকার এমন গ্রামে স্কুল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়, যে গ্রামের জনসংখ্যা কমপক্ষে দুই হাজার ও দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। সেই হিসাবে এক হাজার ৫০০ গ্রামে সরকারি বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ এখন শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক হাজার ২০০ বিদ্যালয়ের কাজ শতভাগ এবং বাকি ৩০০ স্কুলের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ করে সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার।

জানা যায়, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত বছর তিন দফায় ২৮১টি কলেজ ও অর্ধশত মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদাও বাড়ানো হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেলও এক ধাপ উন্নীত করেছে সরকার।

বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বেসরকারি উচ্চশিক্ষায়ও ধরা দিয়েছে সাফল্য। আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের তেমন সুযোগ ছিল না শিক্ষার্থীদের। কিন্তু উচ্চশিক্ষা বেসরকারীকরণের মধ্য দিয়ে এখন তা সবার কাছেই বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় বিপুল সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী বর্তমানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। আর এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাত। বর্তমানে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে মোট শিক্ষার্থীর ৬৩ শতাংশই পড়ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জানা যায়, একসময় শুধু ভারতেই উচ্চশিক্ষা নিতে যেত প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। সেই হার এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চশিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।

কিছুদিন আগেও গ্রামের স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের চিন্তা ছিল অকল্পনীয়। অথচ বিদ্যুৎ নেই, এমন গ্রামেও এখন পৌঁছে গেছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। সোলার প্যানেল বসিয়ে চালানো হচ্ছে এসব ক্লাস। আর ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিওচিত্র ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্বই শিক্ষার্থীদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিকের প্রায় ৬৪ হাজার স্কুলেও একইভাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ডিজিটাল বই করারও উদ্যোগ নিয়েছে। গত ডিসেম্বরে মাদ্রাসার চারটি বিষয়ে ডিজিটাল টেক্সটবুক উদ্বোধন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল বই তৈরির কাজও শেষের পথে। এতে পাঠ্যসূচিতে যেসব বিষয় থাকবে সেসবের বিস্তারিত বর্ণনা ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তাতে পড়ালেখা হয়ে উঠবে আরো সহজ ও আনন্দময়।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।