অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৯ শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক; অবৈধ উপায়ে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন ৯ জন শিক্ষক। এমপিওভু্ক্তির বিধিমাফিক যোগ্যতা না থাকা এই ৯ জন হচ্ছেন জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের ছয়টি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক।
উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের দপ্তর ঘুরে ২৪ মার্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) কমিটির সভায় অন্যান্যের সঙ্গে এই ৯ জনকেও এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।  পদাধিকার বলে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহবুবুর রহমান এই কমিটির প্রধান। পূর্বে এমপিওভুক্ত অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের যখন মার্চ মাসের বেতন দেয়া হবে, তখন এই ৯ জনও বেতন পাবেন।
 অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিদ্যালয় পরিদর্শকের সিন্ডিকেট ঘুষের বিনিময়ে এই অবৈধ এমপিও সুবিধা দেয়া হচ্ছে এসব শিক্ষককে। এতে প্রতিবছর সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্চা যাবে।
অবৈধ উপায়ে এমপিও পেতে যাওয়া শিক্ষকরা হচ্ছেন জামালপুর জেলার পচাকলো জয়তুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মো. সাঈদুজ্জামান। এই বিদ্যালয়টিতে মহিলা কোটা পূরণ নেই। টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার তেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক শওকত আলী। এ বিদ্যালয়ে মহিলা কোটা পূরণ নেই। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল জেলার বরাটি আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী। এখানেও মহিলা কোটা পূরণ নেই।
শেরপুর সদরের কামারের চর ভাবনা খোশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শাখা শিক্ষক মানিক মিয়া ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে চাকরিতে যোগ দেন। ওই বিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদন হয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে। শেরপুর সদরের রামের চর উচ্চ বিদ্যালয়ের শাখা শিক্ষক আজমেরি জান্নাত  নিয়োগ পান ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে। ওই বিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদন হয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে।
 অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি মুক্তিযুদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয় মজনু মিয়া ও নুরুজ্জামান বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন। যোগ দেন একই বছরের ১ জুলাই। শাখা অনুমোদন হয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট। একই জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জান্নাতুল নাঈম ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর নিয়োগ পেয়ে ২৪ ডিসেম্বর যোগ দেন। ওই বিদ্যালয়ে শাখা অনুমোদন হয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট। একই উপজেলার কদিকাহোনিয়া সাউথপড়ুয়া উচ্চ বিদ্যালয় খন্দকার মো. দিদারুল ইসলাম ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে নিয়োগ পান। ওই বিদ্যালয়ের শাখা অনুমোদন হয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে।
ঘুষ নিয়ে ৯জন শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিও সুবিধা দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক  আকতারুজ্জামানের বক্তব্য জানতে দৈনিকশিক্ষা থেকে একাধিকবার তার মোবাইল ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। অনিয়ম ও ঘুষের বিষয়ে জানতে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।