অধ্যাপক হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের আরও সহস্রাধিক শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক,২জুন:

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ চলছে পুরোদমে। শুধু সহযোগী থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সভা হবে এবারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রোববার (২ জুলাই)  জানান, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের খসড়া তালিকা প্রস্তুত । খসড়া তালিকা কাল সোমবার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হতে পারে। আগামী মঙ্গল অথবা বুধবার এসিআর যাচাই-বাছাই হবে। শিক্ষাসচিব দেশে ফিরেছেন গতকাল শনিবার। অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বিদেশে যাবেন ৯ জুলাই। ৭ জুলাইয়ের আগে ডিপিসির সভা অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নেই বলে  নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা অনুষ্ঠানের পরপরই  পদায়ন আদেশ জারি হতে পারে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ডিপিসি সভায় চূড়ান্ত হবে।

কারা পাবেন পদোন্নতি :  অধ্যাপক পদে বিভিন্ন বিষয়ে এবার প্রায় সর্বনিম্ন ২৫০ ও সর্বোচ্চ এক হাজার তিনশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অবসরে যাওয়া, রিজার্ভ পদ ইত্যাদি মিলে কমপক্ষে ২৫০ জন পদোন্নতির যোগ্য। এদের মধ্যে ৯ম, দশম ও এগারো ব্যাচের একজন করে। আত্তীকৃত রয়েছেন ১০ জন। বাদবাকীরা ১৪তম বি সিএসের। ১৪তম ব্যাচে প্রায় ১৮০০ কর্মকর্তা থাকলেও ১২৮৫ জন পদোন্নতিযোগ্য। তবে শিক্ষা ক্যাডারে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের বিপরীতে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

১৪তম ব্যাচের সব কর্মকর্তা অধ্যাপকের স্কেলে বেতন পাচ্ছেন।

অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, সেই হিসেবে ডিপিসি সভাপতিকে বোঝানো হবে যে, এঁদেরকে পদোন্নতি দিলে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি নেই। সচিব স্যার রাজী হলে প্রায় একহাজার তিনশজন পদোন্নতি পাবেন।

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা জানান, তাদের একই পদে ১২ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে হয়। পদোন্নতির জন্য আর কোনো ক্যাডারে এভাবে অপেক্ষা করতে হয় না।

জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডারে দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বঞ্চনা চলছে। অন্য ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হলেও এই ক্যাডারে বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ কারণে বিভিন্ন কলেজে জুনিয়ররা চাকরিতে সিনিয়রদের ওপরে উঠে গেছেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।