সুচির নোবেল পুরস্কার বাতিলের আবেদন

suche-1ডেস্ক: ফার্ক গেরিলাদের সঙ্গে দীর্ঘ ৫২ বছরের রক্তাক্ত সংঘাতের ইতি টেনেছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। ৫২ বছরের সংঘাতে দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।এমন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সক্ষম হওয়ায় ২০১৬ সালে সান্তোসকে নোবেল শাস্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। অপরদিকে দীর্ঘ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করায় অং সান সুচিকেও নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯৯১ সালে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু তিনি ক্ষমতাগ্রহণের পর মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর নির্যাতন  আরো বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সুচির নোবেল কেড়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে বিশ্বব্যাপী।

সুচির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইনে এক আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লাখ লাখ মানুষ। ‘চেঞ্জ ডট অর্গ’ এ এই আবেদনে ইতোমধ্যে সই করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে এই আবেদনটি জানানো হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষায় যারা কাজ করেন, তাদেরকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের মতো সর্বোচ্চ পুরস্কার দেওয়া হয়। সুচির মতো যারা এই পুরস্কার পান, তারা শেষ দিন পর্যন্ত এই মূল্যবোধ রক্ষা করবেন, এটাই আশা করা হয়। যখন একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হন, তখন শান্তির স্বার্থেই নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির উচিত এই পুরস্কার হয় জব্দ করা নয়তো ফিরিয়ে নেওয়া।’

রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারে ধারাবাহিক নির্যাতনের ব্যাপারে অং সান সুচি তার নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে ইতোমধ্যে সমালোচিত হয়েছেন। তিনি এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এমন অনুরোধও জানিয়েছেন যেন রোহিঙ্গাদের এই নামে উল্লেখ করা না হয়।

ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ অং সান সুচিকে তার শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য শ্রদ্ধা করে একথা জানিয়ে এতে বলা হয়, কিন্তু তার এ ধরণের মন্তব্য বহু মানুষকে ক্রুদ্ধ এবং হতাশ করেছে। মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সুচির মনোভাব আসলে কী, সে ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটি, যারা এই পুরস্কার দেয়, তাদের প্রতি আবেদনে এই পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, যারা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ তাদেরকেই শুধু এই পুরস্কার দেওয়া উচিত। সূত্র: বিবিসি

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।