প্রাথমিকে একাধিক সমিতি,সংকটে মন্ত্রনালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্রুত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। নতুন জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কিছু চিহ্নিত সমস্যার কোনো সুরাহা না হওয়ায় সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তারা।

প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা বাস্তবায়ন ও পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাব, দীর্ঘ দিন ধরে সহকারী শিক্ষকরদের বন্ধ থাকা পদোন্নতি চালু, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু, জাতীয়করন সরকারী শিক্ষকদের সাথে পুরাতন সরকারী শিক্ষকদের সম্বনয় সহ একাধিক দাবী নিয়ে আন্দোলনের ঘোষনা আসতে পারে।

শিক্ষক নেতারা জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ও সহকারী শিকদের বেতন এক ধাপ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। তবে তা তিন বছর পার হতে চললেও আজ তা বাস্তবায়িত হয়নি।

তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) আমলাতান্ত্রিক মানসিকতায় সহকারী শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে গত ১০-১২ বছর পর্যন্ত। উচ্চ আদালতের মামলার অবসান হলেও এ পদে পদোন্নতি পিএসসির দোহাই দিয়ে হচ্ছে না।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং প্রধান শিক্ষকদের একক সংগঠন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। সরকার ও নীতি-নির্ধারকদের অনেক সময় দেয়া হয়েছে। সরকারকে আমরা বিব্রত করতে চাইনি। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কিন্তু কিছুই তো হচ্ছে না, হবে বলেও কোনো সম্ভাবনা দেখছি না, এ টেবিল ও টেবিলে ফাইল পড়ে আছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে বিষয়টি নিয়ে তারা ইতমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

মন্ত্রনালয়ের একটি সুত্র বলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক সংগঠন। তাদের একেক সংগঠনের একেক দাবী। প্রধান শিক্ষক বেতন স্কেল জটিলতার ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষাবার্তাকে বলেন কেউ গেজেটেড চাই,কেউ উন্নীত বেতন স্কেল চাই। আবার কেউ প্রধান শিক্ষকদের বেতন ঠিক রেখে তার নিচের ধাপে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল চাই। বিষয়ট নিয়ে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত সমাধানের পথ বের করতে।

‘বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি’র সিনিয়ার যুগ্ম সম্পাদক এসএম সাইদুল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা বাস্তবায়ন ও পদমর্যাদা অনুযায়ী প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে ইতিমধ্যে স্বারকলিপি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরের কোন কাজ হচ্ছে না।

প্রধান শিক্ষক সমিতি’র আরেক সিনিয়ার যুগ্ম সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন ১০ গ্রেডসহ উন্নীত বেতন স্কেল না বাস্তবায়ন হলে আমাদের আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর  উন্নীত বেতন স্কেল বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবীতে স্বারকলিপি পেশ করেছে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।