প্রধানদের ১০ম ও সহকারীদের ১১তম গ্রেডের দাবীতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক,২৪ নভেম্বর। সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন স্কেল প্রদান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান, দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদানে প্রধান শিক্ষকদের বাই নেইমে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সেল্ফ ড্রয়িং ক্ষমতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি আজ সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।

দু’ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে সারাদেশ থেকে সহশ্রাধিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক গাজীউল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি সুব্রত রায়, জাহিদ রব্বানী, মীর মহিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, ফজলুর রহমান, মনির হোসেন, জিন্নাতুল ফেরদৌসী, সিরাজুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, কমল বকসি, জাফর উল্লাহ, আখিনুর আক্তার জাহান, সেলিনা আক্তার, গোলাম রব্বানী, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম সেলিম, হাবিবুল্লাহ ফকির প্রমুখ। মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রাথমিক শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অনতিবিলম্বে দাবি মেনে নেয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। শিক্ষকদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতনস্কেল প্রদান, দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদানে প্রধান শিক্ষকদের বাই নেমে গেজেট বিজ্ঞপ্তির প্রকাশসহ সেল্ফ ড্রয়িং ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
২. সকল ধরনের জটিলতা নিরসন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি/চলতি দায়িত্ব প্রদান এবং প্রধান শিক্ষকদেরকে চাকুরির সিনিয়রিটি ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।
৩. জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের ব্যবস্থা দ্রততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং চলমান ৮ম শ্রেণি চালুকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. শিক্ষক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ৮ম শ্রেণি চালুকৃত বিদ্যালয়সহ সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে সহকারি শিক্ষকদের নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধিসহ প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরি নন ভ্যাকেশনাল হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৫. শিশু শিক্ষার্থীদের উপর থেকে মানসিক চাপ কমানোর লক্ষে বিদ্যালয়ের সময়সুচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত পুন:নির্ধারণ করতে হবে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।