চুয়াডাঙ্গায় দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি,২২ এপ্রিল:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুরে ২ স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত রবিবার বিকেলে দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

ধর্ষিত এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মহেশপুরে ওই শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুলের কাছে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর একটু ভালো হলে রবিবার আবারো তাকে দেখা করতে বলে ওই চিকিৎসক সাইফুল। ঘটনার দিন গত রবিবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী একাই চিকিৎসা নিতে গেলে ওই গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এ সময় ধর্ষিতা ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর রাশেদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর রবিবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক ওই গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শেখ গণি মিয়া জানান, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অপহরণ করে একই এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন শহীদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত রবিবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী সাখাওয়াত হোসেনকেও আটক করা হয়। অপহরণের পর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলে ধর্ষিতা মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবীর জানান, রবিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, জীবননগরে ধর্ষণের শিকার হওয়া এলাকার নিশ্চিন্তপুরের এসএসসি পরীক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinby feather
Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।