শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য আর ব্যবসায়ীদের গাইড ব্যবসার কারণে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষার মান যেমন কাঙ্খিত হারে বাড়ছে না, তেমনি অনেক শিক্ষার্থী বিপথগামী হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে নতুন আইন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজে খুলনা বিভাগের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা গাইড-নোট বইয়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের ঠিকানা হবে জেলখানা। কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থার বিধান রেখে এই আইন করা হবে। আগামী সপ্তাহে আইনটি সংসদে উঠবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন বর্তমানে আমাদের সামনে প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। এই জঙ্গিবাদকে রুখতে দেশের শিক্ষক সমাজকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে তারা বেশিরভাগ ছাত্র। কোন কোন শিক্ষকও এই ভয়ঙ্কর পথে যোগ দিয়েছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভাল পথের দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, আমাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিএনসিসি, গার্লসগাইড, স্কাউট এর সদস্য হতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে শিক্ষার্থীরা বিএনসিসির সদস্য হয়ে কাজ করে তারা কখনো ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে না। আমাদের শুধু শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল করালে হবে না। ভাল মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব কেএস মাহমুদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
by