জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ২৪ সহপাঠীকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের উপড়গাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ ছাত্রীকে ও ৫ ছাত্রকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতির অপর সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানালে শামীম দেওয়ান, আমির দেওয়ান ও আবুল হোসেনসহ আরো ১০-১২ সন্ত্রাসী মিলে শিক্ষার্থীদের হকিস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, মাসুদ, শরীফ, শাহাজালাল, সাইফুল, শিশির, কাওসার, আবু সিদ্দিক ও কালুসহ আরো ২৪ জন আহত হয়। আহতদের মধ্য থেকে গুরুতর ইতি, মীম, সুরমা, রহিমা, জসিম, সজীব, সাইফুল, কাওসার ও মাসুদকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মীম, সুরমা, শামীম ও কাওসার জানান, দীর্ঘদিন যাবত তাদের সহপাঠী ইতিকে শামীম দেওয়ান উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আজ তারা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ইতিকে কু-প্রস্তাব দেয় শামীম। এরপর ওকে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে। ইতি প্রতিবাদ করায় প্রথমে ওকে মারপিট করে। পরে আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদেরকেও মারধর করে আহত করে।
শিক্ষার্থী মিম বলেন, এ সময় আমরা প্রতিরোধ করতে চাইলে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমরা ২৪ জন শিক্ষার্থী আহত হই। আমরা এই সন্ত্রাসীদের যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।
বিনোদপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল মিয়া বলেন, ১ নভেম্বর থেকে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। আমার স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পরে বিনোদপুর থেকে ৫ মাইল দূরে আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই পথে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে। আর প্রতিদিনই শামীম দেওয়ানসহ আরো কয়েক বখাটে এক পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে। আজ প্রতিবাদ জানানোয় আমার ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা করে তাদের আহত করে। আমি এর বিচার চাই।